ইরানের পুনঃসম্পৃক্ততার সিদ্ধান্তে ‘উৎসাহিত’ আইএইএ প্রধান

বাসস
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:০৭

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার বলেছেন, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলকে সফরের অনুমতি দেওয়ার ইরানি সিদ্ধান্তে তিনি ‘উৎসাহিত’ হয়েছেন। এই সফর ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই’ অনুষ্ঠিত হবে।

সিঙ্গাপুর  থেকে এএফপি জানায়, গ্রোসি বলেন, কারিগরি দলটির এই সফর জাতিসংঘের পরিদর্শকদের ইরানে ফেরার পথ খুলে দিতে পারে, যা সম্ভবত এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হতে পারে।

তিনি সিঙ্গাপুর সফরকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যদি শিগগিরই না ফিরি, তাহলে তা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, কারণ এটি ইরানের একটি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তেহরান থেকে আমি যে ইঙ্গিত পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে তারা আমাদের সঙ্গে পুনরায় সম্পৃক্ত হতে চায়—এটি আমাকে আশাবাদী করেছে।’

সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি, তবে গ্রোসি নিশ্চিত করেছেন যে তা ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই’ হবে।

এর একদিন আগে, ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জানান, আইএইএ’র একটি প্রতিনিধি দল দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ইরান সফর করবে।

গারিবাবাদি বলেন, এই সফরে দলটি পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশাধিকার পাবে না; বরং এটি জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেবে।

ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির সঙ্গে শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের আগমুহূর্তে এই বক্তব্য তিনি দেন, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে।

গারিবাবাদি বলেন, ‘যদি ইউরোপীয় দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব, আমরা জবাব দেব।’

গ্রোসি বলেন, এই সফরকারী দলে এখনই কোনো পারমাণবিক পরিদর্শক থাকছে না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আগে শুনে নিতে হবে, ইরান কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে চায়। কিছু জায়গা... ধ্বংস হয়েছে। আমাদের সেই পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করতে হবে এবং এরপরই নির্ধারণ করতে হবে কখন সুনির্দিষ্টভাবে পরিদর্শন শুরু করা যাবে, যেমনটি আমাদের স্বাভাবিক নিয়ম।’

আইএইএ’র একটি দল জুলাই মাসের শুরুতে ইরান ত্যাগ করে সংস্থার সদর দপ্তর ভিয়েনায় ফিরে যায়, যখন তেহরান সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে।

ইরান জুন মাসে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সংঘটিত হামলার জন্য আইএইএকে আংশিকভাবে দায়ী করেছে। ইসরাইল বলেছে, তারা এসব হামলা চালিয়েছে যাতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, যদিও তেহরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গত ২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ইরানের ফোর্দো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

এ সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ‘স্থাপনাগুলোতে ‘মারাত্মক’ ক্ষয়ক্ষতির’ পরেও তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, বিশেষত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম ত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ ও সাশ্রয়ী করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে : বিমান সচিব
অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক প্রকাশ
বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি বিশ্বাস করে : সেলিমুজ্জামান
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে ইতিহাস চর্চায় মনোযোগ দিতে হবে : ড. মাহমুদুর রহমান
বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান, এই দেশ সবার : সেনাবাহিনী প্রধান
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে সোমবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন জেলেনস্কি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া এতো রক্তপাত দেখিনি: মাহবুব মোর্শেদ
হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক ৪ লেনে ও বড়াইগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের দাবিতে মানববন্ধন
নতুন বাংলাদেশ গড়তে কোনো বিভাজন নয় : আমীর খসরু 
১০