ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা বুধবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নতুন একটি আটক পরোয়ানা চেয়েছে। ইওল একাধিকবার তলব উপেক্ষা করার প্রেক্ষাপটে এই পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ইউন বেসামরিক শাসন ভন্ডুল করতে সেনা মোতায়েন করে সংসদে সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিরুদ্ধে ভোট ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হয়।
এরপর তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হন। তিনি জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন, যদিও তিনি কয়েক সপ্তাহ গ্রেপ্তার প্রতিহত করতে প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ডিটেইল ব্যবহার করেছিলেন।
পরে মার্চ মাসে প্রক্রিয়াগত কারণে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলেও, জুলাইয়ের শুরুতে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় কারণ তদন্তকারীরা আশঙ্কা করছিলেন যে, তিনি মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন।
প্রসিকিউটররা সংসদীয় নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও তিনি হাজির হননি। তার আইনজীবীরা স্বাস্থ্যগত কারণে অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা দেন।
সিউল থেকে এএফপি জানায়, প্রসিকিউটর ওহ জং-হি বুধবার বলেন, ‘বিশেষ কৌঁসুলি অফিস আজ সকাল ১০টায় ইউন সুক ইয়লকে দ্বিতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। কিন্তু তিনি হাজির হননি এবং কোনো ব্যাখ্যাও দেননি।’
‘ফলে আজ দুপুরে আমরা ইউনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আটক পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি,’ তিনি যোগ করেন।
ইউন বর্তমানে আটক থাকলেও এই ওয়ারেন্টের মাধ্যমে প্রসিকিউটররা তাকে জোরপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদের আইনি অনুমতি পাবেন।
এছাড়া, সামরিক আইনের প্রচেষ্টার বাইরেও ইউন ও তার স্ত্রী সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিয়ন হির বিরুদ্ধে অন্য মামলাগুলোর তদন্তও চলছে।
প্রসিকিউটরদের এক তদন্তে জানা গেছে, ইউনিফিকেশন চার্চের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এক তান্ত্রিক (শামান) জিওন সিওং-বায়ের হাতে একটি হীরার নেকলেস ও বিলাসবহুল ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ তুলে দেন, যা পরে কিম কিয়ন হির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।