থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছেন

বাসস
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৭

ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল নেতৃত্বের জন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সমর্থন করার পর পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার দল বুধবার একথা জানিয়েছে।

কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধ মোকাবেলার জন্য গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পায়েতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো তাকে প্রতিস্থাপনের জন্য লড়াই করার সময় রাজ্যের শীর্ষ কার্যালয়ে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়।

তার ফিউ থাই দল- এখনও তত্ত্বাবধায়ক পদে ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতা-বহির্ভূত বিরোধী পিপলস পার্টিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাদের নিজস্ব নতুন প্রার্থীকে সমর্থনের অনুরোধ করেছিল।

কিন্তু পিপলস পার্টি রক্ষণশীল টাইকুন আনুতিন চার্নভিরাকুলের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে।

কিছুক্ষণ পরেই, ফিউ থাই মহাসচিব সোরাওং থিয়েনথং এএফপি’কে বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ‘একটি সংসদ ভেঙে দেওয়ার ডিক্রি জমা দিয়েছেন।’

থাই সংবিধান অনুসারে, রাজা যদি সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুমোদন দেন, তাহলে ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।

- কোভিড এবং গাঁজা -
ফিউ থাই হলেন সিনাওয়াত্রা রাজবংশের বর্তমান নির্বাচনী বাহন, যারা দুই দশক ধরে রাজ্যের রাজতন্ত্রপন্থী, সামরিক অভিজাতদের সাথে লড়াই করে আসছে।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলেছেন, তাদের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং তারা ক্ষমতার ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে লড়াই করছে।

পিপলস পার্টি তার ১৪৩ সদস্যের সংসদীয় ব্লককে আনুতিনকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যিনি নির্মাণ প্রকৌশলের উত্তরাধিকারী ছিলেন এবং পূর্বে উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন । গাঁজাকে বৈধ করার জন্য ২০২২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

পর্যটন-নির্ভর রাজ্যের কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত, তিনি পশ্চিমাদের ভাইরাস ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন এবং তীব্র সমালোচনার পর ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।

কিন্তু সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তিনি শীর্ষ পদে আসীন হবেন কি-না তা স্পষ্ট নয়।

অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট সমর্থক ছিল কিন্তু কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত বিরোধের সময় তার আচরণের জন্য এই গ্রীষ্মে তাদের শাসন ক্ষমতা চলে যায়।

একই বিরোধের কারণে শুক্রবার সাংবিধানিক আদালত পায়েতংতার্নকে বরখাস্ত করে। কারণ, আদালত আবিষ্কার করেছে তিনি এই বিরোধে মন্ত্রীর নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।

২০২৩ সালের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত প্রার্থীরাই কেবল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্য এবং একের পর এক অস্থিরতার ফলে সম্ভাব্য নেতার সংখ্যা মাত্র পাঁচে নেমে এসেছে।

পিপলস পার্টি বলেছে, অনুতিনকে সমর্থন করার জন্য তাদের সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং চার মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের শর্ত রয়েছে। এর অর্থ তার পদে উন্নীত হওয়াও নির্বাচনের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন শেখ হাসিনা : ট্রাইব্যুনালে তিন সাক্ষীর অভিযোগ
নারী দরদাতাদের সঙ্গে পিপিআর সংশোধন নিয়ে আলোচনা করেছে বিপিপিএ
নির্বাচনের আগে পুলিশসহ সব ধরনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে : জনপ্রশাসন সচিব
চসিক মেয়রের সাথে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনকারী ৩ শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎ
ভোমরা স্থলবন্দরে ৯৭৮.৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
জয়পুরহাটে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী  
বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান অর্জনের নয়, জ্ঞান বিতরণেরও স্থান: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৪৫ 
মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা
দেশে আর আগের মতো অনিয়মের নির্বাচন হবে না : ইসি সানাউল্লাহ
১০