ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মস্কো এখনো তাদের বাহিনীর দখলকৃত ও রুশ মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইছে। আজ বুধবার প্রকাশিত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক মন্তব্যে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে ইউক্রেন বলেছে, তারা কখনোই তাদের ভূখণ্ডের কোনো অংশের ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবে না। মস্কোর দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাশিয়া দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া এবং এর আগে ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘শান্তি বজায় রাখতে উদ্ভূত নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে স্বীকৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নিতে হবে।’
রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যে ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে, সেসবের নিয়ন্ত্রণ কে পাবে তা উভয় পক্ষের স্থগিত শান্তি আলোচনার মূল বিষয়।
ইউক্রেন চায়, প্রথমে যুদ্ধবিরতি এবং তারপর ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা হোক। তবে পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা বলেছেন, ‘রাশিয়া আক্রমণাত্মক আচরণ পরিবর্তন করেনি এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য প্রস্তুতির কোনো লক্ষণও দেখায়নি। কঠোর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করার এবং মস্কোকে থামিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।’
তিন দফা সরাসরি রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার আয়োজন করেছে তুরস্ক। দেশটি গত সপ্তাহে জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আশ্বাস দিয়েছেন, ইউক্রেন দোনেৎস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে রাশিয়াকে ছেড়ে দিলে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে সম্মুখ যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া হবে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের (আইএসডব্লিউ) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাশিয়া ইতোমধ্যেই লুহানস্ক অঞ্চলের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দোনেৎস্কের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে। তবে এখনো এসব অঞ্চলের রাজধানীগুলো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।