ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কিউবায় রোববার এক-তৃতীয়াংশ প্রদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যার ফলে দ্বীপটির পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত রয়েছে।
হাভানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দেশটির কিছু শহর প্রতিদিন মাত্র তিন ঘন্টা করে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে।
অবকাঠামোর অবনতির কারণে কিউবা তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে। এই কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- আটটি বিকল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জেনারেটর।
চলতি বছর চীনের অর্থায়নে নির্মিত ৫২টি সৌর পার্কের স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও মাত্র ২৮টি সৌর পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাট হ্রাসে ব্যর্থ হয়েছে।
এই গ্রীষ্মে, হাভানায়ও নির্ধারিত ব্ল্যাকআউ বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট বাড়ানো হয়েছে। কিছু এলাকা দৈনিক ১০ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় থাকছে।
ইউটিলিটি প্রোভাইডার কিউবান ইলেকট্রিসিটি ইউনিয়ন জানিয়েছে, পূর্ব কিউবায় একটি ২২০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে গেছে, যার ফলে ১৫টি প্রদেশের মধ্যে পাঁচটিতে ‘সিস্টেম অফলাইনে’ চলে গেছে।
প্রদেশগুলো হচ্ছে— লাস টুনাস, গ্রানমা, হলগুইন, সান্তিয়াগো ডি কিউবা ও গুয়ান্তানামো।
কোম্পানিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণগুলো তদন্ত করা হচ্ছে এবং সিস্টেমটি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ চলছে।’
দশ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সান্তিয়াগো দে কিউবার ৬০ বছর বয়সী বাসিন্দা জাভিয়ের গার্সিয়া বলেন, তার পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টি লক্ষ্য করেননি।
তিনি ফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিলাম। আমরা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভ্রাটের কথা জানতে পেরেছি। ‘দেখা যাক কখন তারা এটিকে চালু করে।’
হলগুইন প্রদেশের মারিৎজা সালদিভার বলেন, তার বাড়িতে দিনে মাত্র তিন ঘন্টা ও রাতে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে।
তিনি আরো বলেন, ‘এই তিন ঘন্টার মধ্যে আমাদের সব কিছু করতে হবে। যেমন— রান্না করা ও সরঞ্জামসহ অন্যান্য কাজ করা।
সালদিভার বলেন, যদি ওই তিন ঘন্টাও যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে কোন কাজই করা যাবে না।
তিনি আরো জানান, গ্যাসেরও অভাব রয়েছে এবং রান্নার জন্য তিনি যে কয়লা ব্যবহার করেন, তা খুবই ব্যয়বহুল।
২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে, কিউবা চারটি বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি বেশ কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।