ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর সোমবার জাপানের পরবর্তী নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রথম প্রার্থী হিসেবে যোগ দিলেন ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ নামে পরিচিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি।
টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মোতেগি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জয়লাভ করলে তাকে জাপানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও এর গুরুত্বপূর্ণ অটো সেক্টরে মার্কিন শুল্কের ফলে সৃষ্ট নতুন অস্থিরতা সামাল দেওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন।
দুটি নির্বাচনে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)’র ভরাডুবি হলে ইশিবা রোববার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এরপর অক্টোবরের শুরুতে তার দল নতুন প্রধানকে নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে।
দলের হেভিওয়েট প্রার্থী মোতেগি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনস্থির করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে কঠিন সমস্যা সমাধান করে আমাদের দেশ জাপানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
১১ মাসের অস্থিরতার মধ্যে, ইশিবাকে আগে নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখা হত। তবে তিনি সংসদের উভয় কক্ষেই তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেন।
১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে শাসন করে আসা এলডিপি’র জন্য এটি একটি বড় ধরনের ধাক্কা।
৬৯ বছর বয়সী এলডিপি’র সাবেক মহাসচিব মোতেগি আগামী দিনে আবির্ভূত হতে পারেন, এমন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন।
হার্ভার্ড-শিক্ষিত এই রাজনীতিবিদকে শক্তিশালী ইংরেজিতে কথা বলার জন্য ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ বলা হত। কারণ তিনি মার্কিন-জাপান বাণিজ্য আলোচনায় দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছিলেন।
আরেকজন প্রার্থী হলেন ৬৪ বছর বয়সী কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং এক সময়ের হেভি মেটাল ড্রামার সানা তাকাইচি।
তিনি ২০২৪ সালে ইশিবার কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
শিনজিরো কোইজুমিও (৪৪) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
শিনজিরো সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তিনি সম্প্রতি ইশিবার কৃষিমন্ত্রী হিসেবে চালের দাম কমানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ইশিবার শীর্ষ সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি ও সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী তাকায়ুকি কোবায়াশি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন।
দলের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, এলডিপি এই সপ্তাহে কখন এবং কীভাবে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন — তা নিয়ে আলোচনা করবে।
তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নতুন নেতার এখনও সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।