ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : লেবাননের শীর্ষস্থানীয় খ্রিস্টান দল গতকাল রোববার হিজবুল্লাহকে তাদের অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে। দলটির এই ঘোষণার পর সেনাবাহিনী নিরস্ত্রীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি ইসরাইলের সাথে এক বছর ধরে চলা সংঘাতের কারণে মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। যার ফলে তাদের অস্ত্রাগারের একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর নেতৃত্বও ধ্বংস হয়ে গেছে।
বৈরুত থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে লেবানন সরকার আগস্ট মাসে সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ এই গোষ্ঠীটিকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
লেবাননের বাহিনী এবং সংসদের খ্রিস্টান ব্লকের প্রধান সামির গেজিয়া বলেছেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘কোনো প্রভাব ফেলবে না’ এবং কেবল ‘ধ্বংস, স্থানচ্যুতি এবং নতুন দখলদারিত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে’।
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমার ভাইয়েরা, ইসরাইলি দখলদারিত্ব এবং আগ্রাসনের অবসানের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম পথ হল একটি প্রকৃত রাষ্ট্র গড়ে তোলা এবং যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো প্রকৃত রাষ্ট্র হতে পারে না।’
তিনি ‘সমস্ত অস্ত্র লেবাননের রাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার’ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে তোমরা হেরে গেছ এবং ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ আরো ভয়াবহ হবে এবং তোমাদের সবকিছু হারাতে হতে পারে।’
এদিকে, ১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর অস্ত্র রাখা একমাত্র দল হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণ প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষকে ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবা করার অভিযোগ এনেছে।
গেজিয়া হিজবুল্লাহকে ‘ইরানের সম্প্রসারণবাদী প্রকল্প’ পরিবেশন করার অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘অবৈধতা থেকে বৈধতার দিকে যাওয়ার সাহসী এই চক্র ভাঙা এবং আরো ক্ষতি এড়ানো এখনো সম্ভব’।