ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ইথিওপিয়ায় আফ্রিকার বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে ইথিওপিয়ার জ্বালানিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসার সম্ভবনা রয়েছে।
যদিও, বাঁধ নির্মাণের ঘটনায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ইথিওপিয়ার কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার গুবা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
নীল নদের উপর গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ ইথিওপিয়ার একটি জাতীয় প্রকল্প এবং দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেও এটি বিরলভাবে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সুদান সীমান্তের কাছে নীল নদের উপর ১৪৫ মিটার উঁচু এবং প্রায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত বাঁধটি ৪ বিলিয়ন ডলার খরচে নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি ৭৪ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এবং ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুসারে, ইথিওপিয়ার ১৩ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই এখনো বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। এছাড়া, রাজধানী আদ্দিস আবাবা’য় ঘন-ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলোতে থাকা মানুষজন জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১১ সাল থেকে নির্মাণ শুরু হওয়া বাঁধটি ইথিওপিয়ার অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে। শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক যানবাহনের প্রসারের দিকে ইথিওপিয়াকে পরিচালিত করতে পারে বাঁধটি।
তবে, নীল নদের পানির ওপর ৯৭ শতাংশ নির্ভরশীল প্রতিবেশী দেশ মিশর বাঁধটি নির্মাণের ফলে বড় ধরনের সঙ্কটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।