ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটির যেখানে হামালা চালাচ্ছে, সেখান থেকে বুধবার সাধারণ মানুষদের চলে যেতে বলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র বরাত দিয়ে জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংস্থাটির কর্মীরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাবে না।
জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে জানায়, ‘গাজার সাধারণ নাগরিকদের বলছি- ডব্লিউএইচও ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো গাজা সিটিতেই থাকবে।’
ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটিতে আক্রমণ বাড়াচ্ছে। এটি গাজা উপত্যকার প্রধান শহর। তাদের উদ্দেশ্য শহরটি দখল করা। এই সপ্তাহে তারা সাধারণ মানুষকে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজা সিটি ও এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস এক্স-এর এক পোস্টে লিখেন, ‘বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার এই সর্বশেষ নির্দেশে আমরা হতবাক।’
তিনি বলেন, ইসরাইল গাজা সিটির ১০ লাখ মানুষকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তথাকথিত ‘মানবিক অঞ্চলে’ চলে যেতে যে নির্দেশ দিয়েছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক।
তিনি আরো বলেন, ‘ওই অঞ্চলে আগে থেকেই থাকা মানুষের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা বা সেবা নেই, নতুনদের জন্য তো একদমই নেই।’
টেড্রোস বলেন, গাজা উপত্যকার সচল থাকা হাসপাতালগুলোর প্রায় অর্ধেকই গাজা সিটিতে অবস্থিত।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের ‘ভাঙা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অবশিষ্ট এই হাসপাতালগুলোকে হারানোর ঝুঁকি নিতে পারবে না।’
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজায় ‘এই বিপর্যয় মানুষের তৈরি এবং এর দায় আমাদের সবার।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজায় তাদের অভিযান চালাচ্ছে।
হামাসের ওই হামলায় ইসরাইলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
অন্যদিকে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ইসরাইলের পাল্টা হামলায় ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এই পরিসংখ্যানকে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।
জাতিসংঘ ইতোমধ্যে গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে, যদিও ইসরাইল তা মানতে নারাজ।