ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ও ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগের মধ্যে বুধবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্য সফরে আছেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে হার্জোগের এই লন্ডন সফরের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
হার্জোগের এই সফর এমন এক সময় হচ্ছে, যখন স্টারমার সাম্প্রতিক মাসগুলোয় গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের সমালোচনা আরও জোরদার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে নিয়ে গেছেন।
বুধবার বিকেলে বৈঠক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটে আলোকচিত্রী ও টিভি ক্যামেরার সামনে এই জুটি করমর্দন করেন।
ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র জানান, মুখোমুখি সাক্ষাতে, স্টারমার আগের দিন দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
মুখপাত্র স্টারমারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই হামলা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আমরা সকলেই যে শান্তি দেখতে চাই তা নিশ্চিত করতে দেয় ন।
স্টারমার গাজায় ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ সম্পর্কে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে সাহায্য পুনরায় শুরু করার ও ‘আক্রমণাত্মক অভিযান বন্ধ করার’ জন্য হার্জোগের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনার পরে হার্জোগ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটি খুব স্পষ্ট ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এটি মিত্রদের মধ্যে একটি বৈঠক ছিল, কিন্তু এটি একটি কঠিন বৈঠক ছিল।’
এ সময় তিনি গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইসরাইলের অস্বীকারের পুনরাবৃত্তি করেন।
জাতিসংঘ গত মাসে গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে এবং সতর্ক করে দেয় যে, এই দুর্ভিক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
- ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র-
ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সম্পর্কে একতরফা প্রস্তাব প্রতিকূল এবং এটি ভবিষ্যতের যে কোনো প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাবত ফেলবে।
স্টারমার জুলাইয়ের শেষের দিকে ঘোষণা করেছিলেন যে, ইসরাইল গাজায় শান্তির জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নিলে, তার সরকার সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ফ্রান্স, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগ দেবে।
ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্টারমার ও হার্জোগ একমত হয়েছেন যে, হামাস কোনও শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে না।
ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি ‘মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতন্ত্র অর্থাৎ ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ধারণার’ প্রতিবাদ করবেন।
স্টারমারের সরকার ইসরাইলের সমালোচকদের চাপের মুখেও পড়েছে। তারা বলেছে গাজায় সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেশটি গণহত্যা করেছে।