ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ইয়েমেন বৃহস্পতিবার ফের ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে । ইসরাইলি বাহিনী বুধবার ইয়েমেনে বিমান হামলার একদিন পর এ হামলা চালায় তারা। ইয়েমেনর হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, বুধবারের ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় তাদের ৪৬ জন নিহত ও ১৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের ইসরাইলে আক্রমণের পর থেকে একাধিকবার ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তবে সর্বশেষ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানোর পর ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।’
হুথি বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার ইসরাইল তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন রাজধানী সানার মিডিয়া অপারেশন এবং জওফ প্রদেশের একটি হুথি কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে।
হুথিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি এক্স-এ পোস্টে লিখেছেন, ইসরাইলি ওই হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে, যা আগে ৩৫ জন ছিল।
তিনি আরও বলেন, ওই হামলায় ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। তবে এটি ‘চূড়ান্ত সংখ্যা নয় বলে জানান তিনি।
আলাসবাহি বলেন, আগে সানায় নিহতের সংখ্যা ২৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১১৩ জন এবং সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী জাওফে সাতজন নিহত এবং ১৮ জন আহতের কথা বলা হয়েছিল।
ইসরাইলের প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বৃহস্পতিবার হুথিদের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, তারা হুথিদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাদের বৃহত্তম একক পদক্ষেপ হিসেবে ৩২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি চারটি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল চীনা কোম্পানিগুলো, যারা হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন বা ড্রোনে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স সরবরাহের অভিযোগে অভিযুক্ত, পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক একটি জাহাজ পরিচালনা কোম্পানিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা জন হার্লি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে’।