ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নেপালে চলতি সপ্তাহে সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে। সরকার পতনের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার পূর্ণাঙ্গ চিত্র সামনে আসার সাথে সাথে পুলিশ জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি হালনাগাদ করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে প্রেসিডেন্ট ও বিক্ষোভকারী প্রতিনিধি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে পারেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কারফিউ জারি করেছে এবং রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি এবং দুর্বল শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নের সময় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২১ জন বিক্ষোভকারীও ছিলেন।
মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা সংসদে আগুন ধরিয়ে দেয়। কেপি শর্মা অলি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সেনাবাহিনী তখন রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
নেপালের সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, তারা বিদ্রোহের সময় লুট হওয়া ১শ’ টিরও বেশি বন্দুক উদ্ধার করেছে। এই সময় বিক্ষোভকারীদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উঁচিয়ে ধরতে দেখা গেছে।
পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে এএফপি’কে বলেছেন, ‘এই সপ্তাহে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৫১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ২১ জন বিক্ষোভকারী এবং তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন’।
সংসদ থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল, নেপালের প্রতিবাদ আন্দোলন অভিজাত শ্রেণিকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছিল
ঘিমিরে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে নেপালি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে পালানোর সময় বা পরে নিহত বন্দিরাও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি আরো বলেছেন, ‘বিশৃঙ্খলার সময় দেশব্যাপী একাধিক কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১২,৫০০ জনেরও বেশি বন্দী এখনও পলাতক।’
কিছু পলাতক ব্যক্তি বিশাল ও ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, যেখানে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী অনেককে আটক করেছে।