ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলা জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর এই সামরিক হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছে। ভূখণ্ডটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইল বলেছে, তারা ভূখণ্ডের বৃহত্তম নগর কেন্দ্রটি দখল করতে চায়, তারা স্থানটিকে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি বলে দাবি করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে যে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির মধ্যে থাকা গাজা নগরীর পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জাতিসংঘ সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে।
এই হামলায় বেসামরিক লোক হতাহত ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ায় ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে ‘অবিলম্বে’ এই হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নগরীতে ৩৫ জন ও ভূখণ্ডের অন্যান্য অংশে আরও ১৫ জন নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে তারা গাজা সিটিতে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো ও উঁচু ভবনের ওপর ব্যাপক হামলা’ চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজায় মিডিয়ার বিধিনিষেধ ও অনেক এলাকায় প্রবেশের অসুবিধার কারণে এএফপি বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া বিবরণ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারছে না।
ইসরাইল এক সপ্তাহ আগে এলাকার উঁচু ভবনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা শুরু করে।
তাদের দাবি, সেগুলো হামাস ব্যবহার করছে।
ইসরাইল শুক্রবার জানায়, হামাসকে নিষ্ফল করার উদ্দেশ্যে অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এবং তাদের সৈন্যদের ওপর হুমকি কমাতে, তারা লক্ষ্যবস্তুতে হামলার গতি জোরদার করবে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ‘গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিমে এক হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী হাজেম আল সুলতান এএফপি’কে বলেন, ‘তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।’
তিনি আরো বলেন, ‘মাত্র দুটি লাশ অক্ষত ছিল। বাকিগুলো ছিল লাশের ছিন্নভিন্ন অংশ।’
নগরীর আল-শিফা হাসপাতালে, সাদা কাফনে মোড়ানো লাশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ছিল শিশুর। শোকাহতরা তাদের জন্য সেখানে দোয়া করেন।
সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
যদিও সেনাবাহিনী গাজা নগরীর বাসিন্দাদের একাধিকবার সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করেছে।
তবে অনেকে এএফপি’কে বলেছেন, তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
তারা আরো জানায়, ইসরাইল যেখানে লোকেদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের সেই অঞ্চলেও তারা বারবার হামলা চালিয়েছে।