ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : লুক্সেমবার্গ আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আরো কয়েকটি দেশের সাথে যোগ দিবে বলে জানিয়েছে।
গাজায় প্রায় দুই বছরের অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরাইলের নিন্দা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
সোমবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে’।
ফ্রিডেন বলেছেন, ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান এখনো প্রাসঙ্গিক তা প্রমাণ করার জন্য ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে এখন একটি আন্দোলন গড়ে উঠছে’।
‘এ কারণেই লুক্সেমবার্গ সরকার আগামী সপ্তাহের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাদের সাথে যোগ দিতে চায়।’
ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং বেলজিয়ামসহ দেশগুলো জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ইসরাইল এবং তার মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার বলেছেন, এই পদক্ষেপ হামাসকে ‘উৎসাহ’ দিয়েছে।
এএফপি’র সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের ইসরাইলের ওপর আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ওই হামলায় ১,২১৯ জন বেসামরিক ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছিল।
জাতিসংঘের কাছে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় এমন অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ইসর্ইালের প্রতিশোধমূলক অভিযানে কমপক্ষে ৬৪,৯০৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা গতকাল মঙ্গলবার ইসরাইলকে ‘ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার’ লক্ষ্যে গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ এনেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের উস্কানির জন্য দায়ী করেছেন।