ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শ্রীলঙ্কা চার প্রজাতির শিকারী শোভাময় মাছ নিষিদ্ধ করবে। এর মধ্যে রয়েছে পিরানহা, যা নদী ও হ্রদে পালিয়ে গেছে, স্থানীয় প্রজাতি ধ্বংস করছে এবং ভঙ্গুর মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। বুধবার দেশটির মৎস্যমন্ত্রী একথা বলেছেন।
কলম্বো থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলোকে আক্রমণাত্মক প্রজাতির হাত থেকে রক্ষা করতে চাই।’ এর লক্ষ্য দ্বীপরাষ্ট্রের জেলেদের জীবিকা রক্ষা করা।
মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আমদানি করা রেডলাইন স্নেকহেড, নাইফ ফিশ, অ্যালিগেটর গার এবং পিরানহার আমদানি, বিক্রয় এবং পরিবহন শনিবার থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
স্নকহেড, যা তিন ফুট (এক মিটার) এর বেশি লম্বা হতে পারে। দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি হ্রদে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটা স্থানীয় প্রজাতিদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
কর্মকর্তারা মনে করেন, মাছগুলো হয়তো দেদুরু ওয়া হ্রদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ আর তাদের যত্ন নিতে না পারে।
মৎস্য মন্ত্রণালয় শনিবার নিষেধাজ্ঞার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্নেকহেডস ধরার জন্য জেলেদের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা স্নেকহেড মাছ খেতে অভ্যস্ত নন। এই প্রজাতির মাছগুলো সাধারণত একটি ক্ষুধার্ত শিকারী, ছোট স্থানীয় মাছ এবং উভচর প্রাণী খায় এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে।
এই চারটি প্রজাতির পোষা প্রাণীর মালিকদের অবহিত করতে এবং তাদের হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে যাতে মাছগুলো রাষ্ট্র পরিচালিত অ্যাকোয়ারিয়ামে সীমাবদ্ধ রাখা যায়।