ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সুপার টাইফুন রাগাসা’র প্রভাবে সোমবার ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চল ও তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে শত শত পরিবার স্কুল ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় শক্তি সঞ্চয় করে ফিলিপাইনের বাবুইয়ান দ্বীপপুঞ্জকে আঘাত হানতে পারে।
জনবহুল দ্বীপপুঞ্জটি তাইওয়ান থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণে লুজন প্রণালীতে অবস্থিত।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়, ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে এবং ঝড়টি ঘন্টায় ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে দ্বীপপুঞ্জ দেশটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
কাগায়ান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান রুয়েলি র্যাপসিং এএফপিকে বলেন, উত্তর কাগায়ানে এখন প্রবল বেগে বাতাস বইছে। টাইফুনটি কালায়ান অতিক্রম করবে। তাই আমরা ওই এলাকার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি।
স্থানীয় দমকল বিভাগের কর্মকর্তা জেমস উ এএফপিকে জানান, তাইওয়ানে পিংতুংয়ের পার্বত্য এলাকায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয় হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতি দুই বছর আগের টাইফুন ‘কয়নু’র মতো হতে পারে।’
সোমবার ম্যানিলা অঞ্চল ও ফিলিপাইনের ২৯টি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জন গ্রেন্ডার আলমারিও রোববার বলেছেন, মূল দ্বীপ লুজনের উত্তরাঞ্চলে ‘মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধসের’ আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘রাগাসা’র প্রভাবে বন্যার আশঙ্কা এমন এক সময়ে এসেছে, যার ঠিক একদিন আগে হাজার হাজার ফিলিপিনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন।
বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধগুলো জরাজীর্ণভাবে নির্মিত হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি বাঁধ কখনও সম্পন্নই হয়নি।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি বিকেলে ও সন্ধ্যায় সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে, যার ফলস্বরূপ উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং ৭০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়।