ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ডালাসের একটি অভিবাসন কেন্দ্রে গুলি চালানো বন্দুকধারী স্পষ্টতই একাই কাজ করেছিল এবং ফেডারেল এজেন্টদের ‘সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
বুধবার মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কেন্দ্রে গুলি চালানোর পর নিজের শরীরে গুলি চালানোর ফলে ২৯ বছর বয়সী জোশুয়া জাহান মারা যান।
একজন আইসিই বন্দী নিহত এবং আরো দু’জন আহত হন, তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহানের টার্গেট ছিল আইসিই। কারণ এই সংস্থাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ লক্ষ অননুমোদিত অভিবাসীকে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানত দায়ী।
টেক্সাসের উত্তর জেলার ভারপ্রাপ্ত মার্কিন আইনজীবী ন্যান্সি লারসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাহানের বাসভবনে পাওয়া নোটের একটি সংগ্রহে তার উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
লারসন বলেছেন, ‘এই নোটগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে তিনি আইসিই এজেন্ট এবং আইসিই কর্মীদের টার্গেট করছিলেন’। ‘তিনি আশা করেছিলেন যে, তার কর্মকাণ্ড আইসিই কর্মীদের আতঙ্কিত করবে এবং তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে, যাকে তিনি মানব পাচার বলে অভিহিত করেছেন।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘এখানে তার এই দুষ্ট চক্রান্তের জন্য দুঃখজনক পরিহাস হল যে একজন বন্দী নিহত এবং আরো দুই বন্দী আহত হয়েছেন’।
এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট জো রথরক বলেছেন, জাহান স্পষ্টতই কয়েক মাসের পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছিলেন এবং আগস্টে ব্যবহৃত রাইফেলটি বৈধভাবে কিনেছিলেন।
জাহান কাছের একটি ভবনের ছাদ থেকে আইসিই স্থাপনায় গুলি চালায় এবং এফবিআই পরিচালক তার পাঁচটি অব্যবহৃত বুলেটের একটি ছবি এক্স-এ প্রকাশ করেছেন। যার একটিতে ‘আইসিই-বিরোধী’ স্লোগান লেখা ছিল।
লারসন বলেছেন, ‘তার কথাগুলো স্পষ্টতই আইসিই-বিরোধী ছিল’। ‘তবুও, আমরা কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সত্তার সদস্যপদ পাওয়ার প্রমাণ পাইনি।’
ট্রাম্পের অভিবাসন দমন অভিযানে আইসিইর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে তারা সশস্ত্র, মুখোশধারী এজেন্টদের ব্যবহার করে জনসাধারণের স্থানে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে।
ট্রাম্প ডালাস হামলার জন্য ‘র্যাডিক্যাল লেফট ডেমোক্র্যাটস’-এর আইসিই-এর প্রতি নির্দেশিত বাগাড়ম্বরকে দায়ী করেছেন।
এই বছরের শুরুতে লস অ্যাঞ্জেলেসে আইসিই অভিবাসন অভিযানের ফলে অস্থিরতা ও বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর, ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়া শহরে ন্যাশনাল গার্ড এবং মার্কিন মেরিনদের পাঠান।