ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযান জোরদার করেছেন।
এরই অংশ হিসাবে প্রাক্তন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) পরিচালক এবং ট্রাম্পের বিশিষ্ট সমালোচক জেমস কোমির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুটি ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে কোমি এবং তার শত্রু হিসেবে বিবেচিত অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানানোর কয়েকদিন পরই এ ঘটনা ঘটল। এটিকে মার্কিন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং হোয়াইট হাউসের প্রভাবমুক্ত থাকার নীতির বড় ধরনের ব্যত্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কোমির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্পের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতার বিষয় তদন্তের সময় মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া এবং ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্প এ খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেন, কোমি ‘এই দেশের সবচেয়ে খারাপ মানুষের একজন’।
দ্বিতীয় মেয়াদে বাস্তব ও কল্পিত শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কোমির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নাটকীয়।
ফেডারেল প্রসিকিউটর লিন্ডসে হ্যালিগানের মতে, কোমি দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। হ্যালিগানও ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি প্রেসিডেন্টের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী হলেও প্রসিকিউটর হিসেবে অভিজ্ঞতা নেই।
এদিকে, কোমির বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনার পর এক বিবৃতিতে বন্ডি বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’।
যদিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক এফবিআই প্রধান কোমি। তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পাই না’।
এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, কোমির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক নেই। যদিও তিনি ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, হ্যালিগানকে নিয়োগ করেছেন কোমি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই।