ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি রাষ্ট্র পরিচালিত ডেটা সেন্টারে শুক্রবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ডাকঘর ও জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাসহ শত শত সরকারি অনলাইন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শনিবার ক্ষমা চেয়েছেন।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সিউল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে দেইজিওনে অবস্থিত জাতীয় তথ্য সম্পদ পরিষেবার লিথিয়াম ব্যাটারিতে আগুন লাগে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় আইটি সিস্টেম সংরক্ষণ রয়েছে।
শনিবার সকালে সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ফোনে একাধিক জরুরি বার্তা পাঠানো হয় ।
এতে নাগরিকদের জানানো হয় যে আগুনের কারণে কিছু পোস্ট অফিস অনলাইন সেবা বন্ধ রয়েছে এবং ১১৯ জরুরি সহায়তা শুধুমাত্র ফোনের মাধ্যমে করা যেতে পারে, ভিডিও বা টেক্সটের মাধ্যমে নয়।
প্রধানমন্ত্রী কিম মিন-সিওক বলেন, ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইটি সিস্টেম একটি মাত্র স্থানে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় আগুন নেভানোর প্রচেষ্টায় অনেক অসুবিধা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দেখা যাচ্ছে, নাগরিক আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট ইস্যুতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করবে। এই অসুবিধার জন্য আমি জনগণের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।’
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ৬৪৭টি সরকারি অনলাইন সেবা বন্ধ ছিল। যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল পরিচয়পত্র সিস্টেম, জাতীয় আইন তথ্য কেন্দ্রের ওয়েবসাইট এবং সরকারি অভিযোগ ও আবেদনের প্ল্যাটফর্ম।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ফলে ডেটা সেন্টারের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় সার্ভার অতিরিক্ত গরম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকার তার আইটি সিস্টেমগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি সক্রিয় ব্যবস্থা হিসেবে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
উপমন্ত্রী কিম মিন-জে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বর্তমানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এরপর আমরা সার্ভারগুলো পুনরায় চালু করব এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অগ্রসর হব।’
২০২২ সালে, দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল মেসেঞ্জার অ্যাপ কাকাওটকের একটি ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার পর ৫ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী বড় ধরনের সেবা বিঘ্নের মুখে পড়েন, যার পর কাকাও কোম্পানিকে দুঃখপ্রকাশ করতে হয় এবং সরকার-নির্দেশিত প্রতিরোধ পরিকল্পনার আহ্বান জানানো হয়।