ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মালি সীমান্তবর্তী নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলে অস্ত্রধারীদের ওপর চালানো বিমান হামলায় চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা শুক্রবার এএফপিকে জানিয়েছেন।
নাইজার আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ইসলামপন্থী এই অস্ত্রধারী গোষ্ঠির দ্বারা ঘন ঘন আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তা সহিংসতা দমন করতে লড়াই করছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম লে একো ডু নাইজার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলেছে, সেনাদের বিমান হামলায় কয়েক ডজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, সোমবার সেনারা ইনজারে মোটরসাইকেলে চলা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ও বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারায়।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শীও ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানী নিয়ামি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ইনজার শহরটি অবস্থিত।
এটি বিশাল তিল্লাবেরি অঞ্চলে, যা বুরকিনা ফাসো ও মালির সীমান্তবর্তী এলাকা এবং জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়রা নিয়মিত অভিযোগ করেন যে মোটরসাইকেল আরোহী জঙ্গিরা প্রাণঘাতী হামলা চালায়, অর্থ দাবী করে ও গবাদি পশু লুট করে নিয়ে যায়।
নাইজারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিএন শুধু জানিয়েছে, ইনজারে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, যাতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
সামরিক শাসক জেনারেল আবদুরাহমান তিয়ানি বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলীয় তিল্লাবেরির গভর্নর কর্নেল মাইন বৌকারকে ইনজারে পাঠান ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানাতে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, গভর্নর আহতদের দেখতে যান এবং স্থানীয়দের বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত, যাতে সাধারণ মানুষকে জঙ্গি ভেবে ভুল করা না হয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বুরকিনা ফাসো সীমান্তবর্তী তিয়াওয়ায় সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর অস্ত্রধারীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত বিমান হামলায় কয়েকজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।