যুক্তরাজ্যে গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করেছেন তিন ইরানি

বাসস
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২২

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে যুক্তরাজ্যে অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে আগত তিন ইরানি নাগরিক শুক্রবার ব্রিটেনে গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করেছেন। 

লন্ডন থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

মোস্তফা সেপাহভান্দ (৩৯), ফরহাদ জাভেদি মানেশ (৪৪) এবং শাপুর কালেহালি খানী নূরী (৫৫) শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে হাজির হয়েছেন।

প্রসিকিউটর বিল এমলিন জোন্স বলেছেন, অভিযোগগুলো গুরুতর এবং সাংবাদিক এবং সংস্থাগুলোর ওপর গুপ্তচরবৃত্তির সাথে সম্পর্কিত যা ‘ইরানি সরকার কর্তৃক শত্রুতাপূর্ণ বলে বিবেচিত’।

মে মাসে আদালতে প্রথম হাজির হওয়ার সময় মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডের প্রধান ডমিনিক মারফি বলেছেন, ‘এগুলো অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ’। এটি একটি ‘খুব জটিল এবং দ্রুতগতির তদন্ত’ ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের বিরুদ্ধেই ‘১৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে কোনো বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা করার মতো আচরণে জড়িত থাকার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

সেপাহভান্ডের বিরুদ্ধে ‘নজরদারি, গোয়েন্দাগিরি এবং উন্মুক্ত গবেষণা বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের একজন ব্যক্তির ওপর গুরুতর সহিংসতা’ চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। 

মানেশ এবং নূরীর বিরুদ্ধে ‘নজরদারি এবং গোয়েন্দাগিরির অভিযোগও আনা হয়েছে যাতে অন্যদের দ্বারা যুক্তরাজ্যের একজন ব্যক্তির ওপর গুরুতর সহিংসতা চালানো হতে পারে।’

মে মাসে বিবিসি রিপোর্ট করেছিল, এই ব্যক্তিরা ফার্সি-ভাষা ইরান ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্কের কাজে কর্মরত যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সাংবাদিকদের টার্গেট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লন্ডনে অবস্থিত একটি স্বাধীন মিডিয়া সংস্থা যাকে ইরান সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা সকলেই অনিয়মিত অভিবাসী এবং ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ছোট নৌকা বা যানবাহনে লুকিয়ে থেকে অন্যান্য উপায়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন।

বেলমার্শ কারাগার থেকে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে হাজির হওয়া তিন আসামি ইংরেজিতে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ার আগে একজন ফার্সি দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

২০২৬ সালের অক্টোবরে তাদের বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে একটি অন্তর্বর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ইরান প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের বিদেশি প্রভাব নিবন্ধন প্রকল্পের বর্ধিত স্তরে স্থান পেয়েছে। যার লক্ষ্য গোপন বিদেশি প্রভাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা।

এই প্রকল্পের অধীনে ইরান-এর গোয়েন্দা পরিষেবা বা বিপ্লবী গার্ডের জন্য যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে কাজ করা সমস্ত ব্যক্তিকে নিবন্ধন করতে হবে অথবা জেলের মুখোমুখি হতে হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঢাকায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের নতুন সিটি টিকিটিং অফিস উদ্বোধন
দূর্গাপূজার সময় সব ধরনের গুজব থেকে সাবধান থাকতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
রাশিয়ার হুমকির মুখে ন্যাটো উত্তর সাগরে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে
বিসিবি নির্বাচক প্যানেল থেকে পদত্যাগ করলেন রাজ্জাক
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ফাইনালে অনিশ্চিত পান্ডিয়া
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত 
উচ্চ শিক্ষা বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ায় : ধর্ম উপদেষ্টা
আগামীকাল শুরু হচ্ছে কাপ পর্বের খেলা
১০