ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ শুক্রবার ইসরাইলি বসতি স্থাপনে কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী কোম্পানির ডাটাবেসের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আপডেট প্রকাশ করেছে। এই ডাটাবেসে ১১টি দেশের ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অসম্পূর্ণ ডাটাবেস থেকে দেখা গেছে, বুকিং ডটকম. মটোরোলা সলিউশনস এবং ট্রিপ এডভাইজার এর মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকায় রয়েছে। সেখানে অলস্টাম এবং অপোদোসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বেশিরভাগ কোম্পানি ইসরাইলে অবস্থিত। অন্যরা কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
প্রতিবেদনে কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রমে ‘মানবাধিকারের প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনের নীতিকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তুর্ক তার অফিস ডাটাবেস প্রকাশ করার সময় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনটি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কাজ করা ব্যবসাগুলোর যথাযথ পরিশ্রমের দায়িত্বের ওপর জোর দেয় যাতে তাদের কার্যক্রম মানবাধিকার লঙ্ঘনে অবদান না রাখে’।
চার বছর আগে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যবসা থেকে লাভবান সংস্থাগুলোর একটি ডাটাবেস দাবি করে মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সমালোচনার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রথম ২০২০ সালে তালিকাটি তৈরি করেছিল।
জাতিসংঘের অধিকার অফিসকে পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনে নির্মাণ, নজরদারি, ধ্বংস এবং কৃষি জমি ধ্বংসসহ ১০টি নির্দিষ্ট কার্যকলাপের যেকোনো একটিতে অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল।
এটি জোর দিয়ে বলেছে, ডাটাবেসে কোম্পানিগুলোর তালিকা ‘বিচারিক বা আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া ছিল না।’
বার্ষিকভাবে ডাটাবেস আপডেট করার প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও এটি মাত্র একবার ২০২৩ সালে সংশোধন করা হয়েছে, যখন মূল তালিকায় স্থান পাওয়া ১১২টি সংস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছিল।
বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে পনেরোটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের প্রকাশনাটিই প্রথম আপডেট যেখানে নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধিকার অফিস জানিয়েছে, ‘২০২৩ সালে প্রকাশিত তালিকায় মোট ৬৮টি নতুন কোম্পানি যুক্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে সাতটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তারা আর কোনো সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল না’।
এই অভিযান শুরু থেকেই বিতর্কিত।
২০২০ সালে ইসরাইল এবং তার প্রধান মিত্র ওয়াশিংটন ডাটাবেস তৈরির তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। তৎকালীন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এটিকে ‘ইসরাইলের ক্ষতি করতে চাওয়া দেশ এবং সংস্থার চাপের কাছে লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ বলে নিন্দা করেছিলেন।