ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইকুয়েডরের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। দেশটিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির বৃহত্তম আদিবাসী সংগঠন রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
আদিবাসী ওই সংগঠনটি জানায়, এফ্রাইন ফুয়েরেজকে ‘তিনবার গুলি করা হয়’ এবং তিনি রোববার কোটাকাচির একটি হাসপাতালে মারা যান।
হাসপাতালটি কুইটো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। দেশটির বৃহত্তম আদিবাসী সংগঠনটি ‘কোনাই’ নামেও পরিচিত।
কুইটো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইকুয়েডরের পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী এ অভিযোগ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা করেন, তিনি জ্বালানির ভর্তুকি কমিয়ে দেবেন, যার ফলে রাষ্ট্রের ১.১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।
এই পদক্ষেপের ফলে ডিজেলের দাম প্রতি গ্যালন ১.৮০ ডলার থেকে বেড়ে ২.৮০ ডলারে (প্রতি লিটারে ৪৮ সেন্ট থেকে ৭৪ সেন্ট) দাঁড়ায়, যা এমন একটি দেশের জন্য বড় ধাক্কা।
ইকুয়েডরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
কোনাইয়ে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা এফ্রাইন ফুয়েরেজকে হত্যার জন্য ড্যানিয়েল নোবোয়াকে দায়ী করছি এবং এফ্রাইন ও তার সম্প্রদায়ের জন্য তাৎক্ষণিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।’
মানবাধিকার সংস্থা আইএনআরইডিএইচ সর্বপ্রথম এই মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে এবং ‘মারাত্মক ও অবৈধ বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আরেকজন ব্যক্তি এখনো ‘সংকটাপন্ন অবস্থায়’ রয়েছেন।
ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে যে, ‘অভিযোগ অনুযায়ী মৃত্যুর’ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।
বিক্ষোভ দমাতে প্রেসিডেন্ট নোবোয়া ১৬ সেপ্টেম্বর আটটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং পাঁচটি প্রদেশে রাত্রীকালীন কারফিউ ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভকারীরা মাটি, পাথর এবং কাঠের তৈরি ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা অবরোধ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কয়েক ডজনকে আটক করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুসারে ইকুয়েডরের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় আট শতাংশ আদিবাসী।