ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে এবং আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করার জন্য বেইজিং একসাথে কাজ করতে চায়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল রোববার তার উত্তর কোরিয়ার সমকক্ষকে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে একটি হালকা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বিরল সফরের কয়েক সপ্তাহ পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন-হুই চীনের রাজধানীতে ওয়াংয়ের সাথে দেখা করেন। তিনি দেশগুলোর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন।
ওয়াং উত্তর কোরিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে চোয়েকে বলেছেন, ‘চীন-ডিপিআরকে সম্পর্ক বজায় রাখা, সুসংহত এবং উন্নয়ন করা সর্বদা চীন সরকারের অটল কৌশলগত নীতি’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে তিনি বলেছেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ডিপিআরকে-এর সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদারও সকল ধরণের আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করতে এবং উভয় পক্ষের সাধারণ স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে ইচ্ছুক’।
মন্তব্যগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে টানাপোড়েনে সত্ত্বেও দুই প্রতিবেশী ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই মাসে বেইজিংয়ে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বিচ্ছিন্ন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের জন্য বেইজিং কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং দুটি দেশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে।
কিম জং উন বলেছেন, ওয়াশিংটন যদি পিয়ংইয়ংকে তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করার দাবি করা বন্ধ করে দেয় তবে তিনি তার সাথে পুনরায় যোগাযোগ শুরু করতে প্রস্তুত।
পিয়ংইয়ং তার পরমাণু কর্মসূচিকে ন্যায্যতা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ তার মিত্রদের কাছ থেকে আসা হুমকির কথা উল্লেখ করে।