ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠককে সামনে রেখে ইসরাইলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী সোমবার গাজায় ‘সামরিক কার্যক্রমের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প বৈঠকে নেতানিয়াহুকে তার ২১-ধাপের শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি জানাতে চাপ দিতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে এক পোস্টে ইসরাইল অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ ‘রেড লাইন’ তালিকা প্রকাশ করে বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা কার্যক্রম, ভূমির ওপর আমাদের অধিকার এবং আপসহীন বাস্তবায়ন কেবল আমাদের সামরিক বাহিনী ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে।
তিনি দাবি করেন, সামরিক বাহিনী স্থায়ীভাবে সীমান্তে অবস্থান করবে, ফিলাডেলফি করিডরসহ পুরো গাজা উপত্যকায় কার্যক্রম চালানোর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা বজায় রাখবে।
ফিলাডেলফি করিডর গাজা-ইজিপ্ট সীমান্ত বরাবর অবস্থিত। এটি ইসরাইলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ফিলিস্তিনি অঞ্চলে অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কূটনৈতিক সূত্রমতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ওই অঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গাজার ভবিষ্যতের বিষয়ে পশ্চিম তীরভিত্তিক প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি (পিএ) এর কোনো ভূমিকা দেখতে চান না স্মোত্রিচ। পিএ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখল করার আগে গাজা শাসন করে। নেতানিয়াহুও গাজার ভবিষ্যতে পিএ’র কোনো ভূমিকা চান না।
স্মোত্রিচ দাবি করেন য, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে কাতারের কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়। তিনি লিখেন, কাতারের কপটতা ও দ্বি-চারিতা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত ও তহবিল যোগান দেয়। এর অবসানের সময় এসেছে।
গাজা শান্তি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী কাতার। সম্প্রতি কাতারে বৈঠক চলাকালে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। ট্রাম্প এর বিরোধিতা করেন।
স্মোত্রিচ আরও দাবি করেন, ইসরাইলের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে এমন কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা বলা উচিত নয়। তার এই বক্তব্য নেতানিয়াহুর মন্তব্যের সাথে মিল রয়েছে।
স্মোত্রিচ আশা করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ও বাস্তবিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠা করা হবে, ইউদিয়া ও সামারিয়া ইসরাইলের সার্বভৌম রাষ্ট্রের অমূল্য অংশ। ইসরাইলি বাইবেলে এ শব্দ দ্বারা পশ্চিম তীরকে বুঝানো হয়। ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর ইসরাইলের দখলে রয়েছে ।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে পশ্চিম তীর অধিগ্রহণের বিষয়ে সতর্ক করেন। ইসরাইলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ অধিগ্রহণের দাবি জানান।
নেতানিয়াহু সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখার জন্য স্মোত্রিচের রিলিজিয়াস জায়নিস্ট পার্টির ওপর নির্ভরশীল।