শিরোনাম
কুমিল্লা, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার্থীরা দেশের ও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে পারলেই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা অর্জিত হয়।
তিনি আজ জেলার কোর্টবাড়িতে সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের জীবনের সবচেয়ে চমৎকার অধ্যায় হচ্ছে শিক্ষাজীবন। তারুণ্যের উচ্ছলতায় পরিপূর্ণ এই সময়ে শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জীবন গঠনে মনোনিবেশ করে থাকে।
তিনি বলেন, এই সময়ে শিক্ষার্থীদের জীবনে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সামনে উন্নত স্বপ্ন থাকতে হয়। সেই স্বপ্ন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন করার জন্য নয় বরঞ্চ দেশ ও সমাজে ভূমিকা রাখার স্বপ্নও তাদেরকে দেখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় শিক্ষার্থীদের আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উৎকর্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মার্ক জুকারবার্গ, জেফ বাজোস, স্টিভ জবস, এলোন মাস্ক কিংবা জ্যাক মা প্রযুক্তির দক্ষতা ও উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে সারা বিশ্বে নিজেদের সুনাম ও অবস্থান অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করার ফলে আজকের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলে বসবাস করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করতে পারছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে শিক্ষার্থীরা চাকুরীর পিছনে না ছুটে প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা হবে।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দক্ষ মানুষজন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার, আজকে তা ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে দেশের অর্থনৈতিক এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ অনুন্নত দেশ থেকে আজকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিজেদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে দখলদারিত্বের মাধ্যমে কেউ রাজত্ব করতে পারে না, জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে হয়।
সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল শ্রী সিদ্ধার্থ শংকর দে, কুমিল্লা ৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন, গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিক অব মালদ্বীপের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আবদুল্লা রাশিদ আহমেদ।