শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী চিকিৎসকদের আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা যদি এখানে ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে মানুষ আর বিদেশ যাবে না।
আজ নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের একটি প্রকল্প ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর অবদানে তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ এ হাসপাতালের গর্বিত অংশিদার। আমি চিকিৎসক এবং পরিচালকদের অনুরোধ করব চিকিৎসা সেবার মান আরো উন্নত করতে এবং রোগীদের যতœ নিতে। কারণ আমাদের দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য প্রায়ই বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আপনারা যদি এখানে ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে মানুষ আর বিদেশ যাবে না।
দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মোর্শেদ হোসাইন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ বক্তব্য রাখেন। এসময় হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ জনগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাইরে অনেক প্রবাসী ভাই বোন আছেন যারা অনকোলজি বিশেষজ্ঞ। তাঁরা যদি মাঝে মাঝে এসে এখানে রোগীদের সময় দেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন তাহলে হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। এখানে রোগীদের স্বল্পব্যয়ে চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। কারণ যাদের পয়সা অনেক তারা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে যারা একটু পিছিয়ে তারা যেন পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা এখান থেকে পায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বদৌলতে চট্টগ্রাম সবদিক দিয়ে এগিয়ে। এখানে কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। ফ্লাইওভারের কাজও শেষ পর্যায়ে। আবার ক্যান্সার হসপিটাল ও রির্সাচ সেন্টার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা সেবার দিক দিয়েও এগিয়ে গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ক্যান্সার রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক লিনিয়ার এক্সিলেরটর মেশিনসহ ক্যান্সার চিকিৎসার সকল যন্ত্রপাতি এখানে স্থাপন করা হয়েছে। রোগীদের জন্য সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আইসিইউ, কেবিন, সাধারণ শয্যাসহ ১১ তলা ভবনে মোট ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে।