শিরোনাম
ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার ঢাকার একটি আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে কারাগারে আব্বাসকে ডিভিশন ও চিকিৎসা প্রদানের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন ও সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এরআগে গত ১ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরআগে ২৯ অক্টোবর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭শ’ থেকে ৮শ’ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শ্লোগান দেন।
তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর এলাকায় নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে আজ রোববার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখালো ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমাম। এদিন মামলার যুক্তিউপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মির্জা আব্বাসের আইনজীবী শাহিনুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম সাফাই সাক্ষি নিতে আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর সাফাই সাক্ষি গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন অদালত।