শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় গতরাতে পৃথক স্থানে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ দুইজন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে।
মৃতরা হচ্ছে, সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মুনছুর মিয়ার ছেলে ও লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পিয়াস আহমেদ (১৮) ও পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন(২৩)।
আহত সিফাত হোসেন, তানভীর হোসেন, সাব্বির হোসেন, নোমানুর রহমান নোমান ও জাহিদ হোসেনসহ ৯ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সিফাত হোসেন ও তানভীর হোসেনের অবস্থায় আশংকাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের বাসু বাজার ও লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পিয়ারাপুর এলাকায় পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কলেজ ছাত্র পিয়াস আহমেদ ও দুই বন্ধুসহ তিনজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালেরহাটের দিকে আসছিলেন। মোটরসাইকেলটি লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের বাসু বাজারে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছেড়ে আসা সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় সিএনজির তিন যাত্রীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় পিয়াস আহমেদ। অন্য আহত ৫ জনের মধ্যে তিন জনকে সদর ও দুইজনের অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পেয়ারাপুর এলাকায় সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ফরহাদ হোসেন নামে একজন মারা যায়। অন্য চারজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল বলেন, পৃথক দুইটি দুূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত ৯ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সিফাত হোসেন ও তানভীর হোসেন নামে দুইজনের অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের চিকিৎসা চলছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন মারা যায়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।