প্রাথমিক পর্যায়ে সাক্ষরতা অর্জন নিশ্চিত করা জরুরি : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৭
ময়মনসিংহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক কার্যালয়ের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, যেকোনো উপায়েই হোক প্রাথমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর অন্ততপক্ষে মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি বলেন, মৌলিক সাক্ষরতার কাজটি যারা শিক্ষকমন্ডলী তাদেরই করতে হবে। এদিকে, আমাদের ভর্তির হার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু কিছুদিন পর বিদ্যালয় থেকে আবার ছাত্রসংখ্যা কমেও যাচ্ছে, যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আজ ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক কার্যালয়ের আয়োজনে ‘কমিউনিকেশন এন্ড সোশ্যাল মবিলাইজেশন এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি বিষয়ক’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সমাজের চাহিদা অনুযায়ী আমরা শিশুদের কতটুকু সাক্ষর করে গড়ে তুলতে পারছি, সেটা দেখা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের পলিসিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। আমরা সে জায়গাটিতে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, আপনাদের সুচারু মতামত সরকারের কাছে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। অতিকেন্দ্রিকতার কারণে সামগ্রিকভাবে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু পরিবর্তন আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শতভাগ চেষ্টা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক স্থানীয় সমস্যা রয়েছে, যেটা জেলাভিত্তিক সমাধান করা সম্ভব এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে, কেন্দ্র থেকে শুধু একটা সাধারণ নীতিমালা নির্ধারণ করে দিলেই হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, জনমত নিয়েই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের পলিসি গঠন হবে। চরাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য স্কুল কীভাবে সুবিধা হয়, দুর্গম অঞ্চলের স্কুলের সুবিধা কী হবে, এটা স্থানীয়দের মতামত অনেকটাই জরুরি। শুধু অর্থনৈতিক কর্মকান্ড করলেই হবে না, শিক্ষাটা সমাজের কতটুকু উপকারে আসছে সেটা ভাবার বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা প্রাইমারি পর্যায়ে লাইব্রেরির অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য বাড়তি বই পড়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজনে বাহির থেকে মালামাল ও সেবা, ক্রয় বা সরবরাহ করতে পারি। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর (নেপ) মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. লুৎফুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরহাদ আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
শাবিপ্রবি উপাচার্যের সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
পুলিশ-লীগের নৃশংসতার শিকার মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও : আশরাফ মাহদী
কুমিল্লায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্পে রঙ-তুলির ছোঁয়া
দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে
গোপালগঞ্জের ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয়, উদ্বিগ্ন : ডা. আব্দুল্লাহ তাহের
পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে এনসিপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট
এ্যাব-এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত
নদী বন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে না এগোলে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি হবে : ফ্রান্স
গোপালগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সেনা সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচার শনাক্ত : ফ্যাক্টওয়াচ
১০