বাসস
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৬
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৫

যুবদের নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দিতে হবে : মোখলেস উর রহমান 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান আজ রংপুর স্টেডিয়ামে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বক্তব্য রাখেন। ছবি : বাসস

রংপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান দেশের নেতৃত্বে যুবদের আসার সুযোগ করে দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর দেশে তিন-চার দিন কোন সরকার ছিল না। তখন ছাত্ররাই দেশ চালিয়েছে। তখন তেমন অপরাধ সংঘটিত হয়নি, রাস্তায় ট্রাফিক ছিল না। এগুলোকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। এসবকে স্ট্রাকচারাল মর্যাদা দিতে হবে। আজকের যুবরাই কিন্তু নেতৃত্বে আসতেছে। ১৬ বছরে আমরা কিছু করতে পারি নাই, যারা করেছে তাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে।

ড. মোখলেস উর রহমান আজ শুক্রবার রংপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কর্মচারি কল্যাণ বোর্ড বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ১২তম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি রয়েছেন যারা বয়সের দিক থেকে যুবক। দেশের শিল্প-সাহিত্যে যুবকদের কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুবকরা লড়াই করে। বৃটিশ আমলে প্রথম সিভিল সার্ভিসে প্রবেশের বয়স ছিল ১৯ বছর। আর আমরা আন্দোলন করে ৩২ এ নিয়েছি। এখনও ৩৫ করার দাবি জানানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীর মোরালকে আপ করতে হবে। পুলিশকে সহযোগিতার জন্য আর্মি আনা হয়েছে। আর্মিকে সহায়তার জন্য তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলতে পারে। মানুষের জীবনে স্বাভাবিক গতি এসেছে। সমস্যা ছিল, আছে এবং থাকবে। এসব সমস্যা থেকে উত্তোরণের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো জেলা প্রশাসন। তারা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে জনগণকে নানা ধরণের আনন্দমূলক অনুষ্ঠানে সংযুক্ত করবে। এই খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

মাদকের দিকে তারাই ধাবিত হয়, যাদের পরিবারিক কলহ আছে। যুবকদের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে পরিবার দায়ী। খেলাধুলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে তাদের জড়িত করা গেলে মাদক থেকে তাদের দূরে রাখা যাবে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝাস্বরূপ।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ খান ও রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আইরিন সুলতানা।

এ সময় রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রশাসকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রংপুর বিভাগের আট জেলা ও রংপুর মহানগর দলের তিন শতাধিক প্রতিযোগিরা মোট ৩৫টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন।