হবিগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে হত্যার পর প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার দায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের আল আমিন, মায়ানগরের ছদর আলী, উত্তমপুরের তাজ উদ্দিন ও ইংল্যান্ড প্রবাসী মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া। দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছ থেকে জ্যোৎস্না বেগম নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে।
এ ঘটনার পর মিজানুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত নারীর ভাই রজব আলী ফকির। পরবর্তীতে পুলিশের ৩ দফা তদন্তে বের হয়ে আসে মিজানুরকে ফাঁসানোর জন্য ইংল্যান্ড প্রবাসী সুফি মিয়া অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে মিলে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে জ্যোৎস্নাকে হত্যা করিয়ে প্রতিপক্ষের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করান।
পরে সিআইডি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আল আমিন, ছদর আলী, তাজ উদ্দিন ও সুফি মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে ছদর আলী ও তাজ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর ঘটনার ১১ বছর পর আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের মধ্যে ওই ৪জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ।