সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ গণশিক্ষা উপদেষ্টা 

বাসস
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৯:৩৯ আপডেট: : ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৯:৫৩
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা ‘স্কিলফো’ প্রকল্পের ব্যবহারিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে উন্নত করতে পারলে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা সকলে যদি দায়িত্ব সুন্দরভাবে গুরুত্ব সহকারে পালন করি তাহলে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, দেশকে এগিয়ে নিতে পারি।’

আজ শনিবার কক্সবাজার পিটিআইতে প্রজেক্ট একটিভিটিস এন্ড স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রি-প্রাইমারি এন্ড প্রাইমারি এডুকেশন ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ইন কক্সবাজার এন্ড বান্দরবান ডিস্ট্রিকস এন্ড ভাসানচর অব নোয়াখালী’ প্রজেক্টে স্কুল ফিডিংসহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট রয়েছে। সবকিছু মিলে যদি আমাদের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাটা বাড়ে, তাহলে সেটি জাতীয় আপলিফটে সাহায্য করবে। কারণ তারা তলার বাসিন্দা। তাদের উন্নত করতে পারলে সকলের উন্নয়ন হবে। প্রাইমারি এডুকেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। দেশের যে পরিবর্তন হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থান হলো। সেটার মূল কথাটা ছিল বৈষম্য দূরীকরণ। 

উপদেষ্টা বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- শিশুরা লম্বা সময় স্কুলে থাকবে, তারা দুপুরে কিছু খাবে, তাদের ক্ষুধা দূর হবে। শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে সেটার কিছুটা রেমিডি হলো আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম লাগবে, বান লাগবে, কলা লাগবে এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের প্রাক্টিক্যালি নীড। আমাদের নীড কিন্তু অনেক বেশি।

আর্থিক কারণে অনেকে তার নীড পূরণ করতে পারেনা। কিন্তু নীড যদি অধিক হয় তাহলে এগুলো প্রোডাকশন হবে। ইকোনোমিকে বুস্টআপ করার জন্য কিন্তু প্রজেক্টগুলি কাজে লাগবে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের স্কুল ফিডিং, সেটা উন্নত দেশে যেমন ডাইমেনশন, আমাদের দেশের ডাইমেনশন বহুমাত্রিক। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটাকে শুধু স্কুল ফিডিং হিসেবে প্রতিপাদ্য না করে অর্থনীতির একটি বিশাল ডাইমেনশন হিসেবে ধরা পড়ছে। আশা করি আমরা সেটা করব। ১৫০ উপজেলায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু হবে। 

প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার সহধর্মিণী ডাক্তার রমা সাহা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট সৈয়দ রাশেদ আল জায়েদ জোস।

উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের ৫৬৯ এবং বান্দরবানের ৪৩৬টি মোট ১ হাজার ৯৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ লাখ ১১ হাজার শিক্ষার্থী  সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিকর বিস্কুট, কলা, বান, ডিম, দুধ পাবে। কক্সবাজার এবং ভাষানচরে অবস্থানরত মায়ানমারের শিশুরাও সুবিধা পাবে। ১ হাজার ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ৬ হাজার ৯৯ জন শিক্ষক দক্ষতা বৃদ্ধির ট্রেনিং পাবে। 

প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত। 

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের টাকা ২৮৭ কোটি এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৬৩ কোটি টাকা।

উপদেষ্টা এর আগে কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মাণাধীন ‘লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টার’ পরিদর্শন করেন এবং কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের জন্য দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা ‘স্কিলফো’ প্রকল্পের (পাইলট) ব্যবহারিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
খার্তুম রাজ্য 'সম্পূর্ণরূপে আধাসামরিক বাহিনী মুক্ত' : সেনাবাহিনী
চাল সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জাপানের কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগ
মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ না পড়ানো নিয়ে রিটের আদেশ আজ
আসাদ-পরিবারের ছায়া কাটিয়ে সিরিয়ার ঘোড়দৌড়ে ফিরেছে প্রতিভার মর্যাদা
জুলাই আন্দোলনে টাঙ্গাইলে আমিনুরের মুখে বিদ্ধ গুলি সফলভাবে অপসারণ
মেক্সিকোতে সশস্ত্র সংঘর্ষে নিহত ৬ 
যুক্তরাষ্ট্রে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ইনজেকশন দিয়ে খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে ছড়ানো গুজব শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট
ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ট্রাম্প পুতিনকে কোনো 'ছাড়' দেননি: রুবিও
১০