ঢাকা, ১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নির্বাচন কর্মকর্তাদের একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসির নীতিমালা বল্ াহয়েছে, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সর্বোত্তম স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন অত্যাবশ্যক। ব্যক্তি/গোষ্ঠী/দলের প্রভাববিহীন ও ভোটারদের ভোট প্রদানের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের স্থান নির্ধারণের উপর সুষ্ঠু নির্বাচন বহুলাংশে নির্ভরশীল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি অনুসারে ভোটকেন্দ্রের স্থান নির্ধারণ করা এবং তার চূড়ান্ত তালিকা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর অর্পিত। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নিমিত্ত নিম্নরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করল।’
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক তালিকা প্রেরণের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রাথমিক তালিকার উপর দাবী/আপত্তি/সুপারিশ গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত করা হয় এবং গেজেটে প্রকাশ করা হয়।
ভোটকেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত নিম্নবর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।’
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘ভোটার অনুসারে কেন্দ্র ও কক্ষ স্থাপন: গড়ে ৩০০০ (তিন হাজার) ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৫০০ (পাঁচশত) জন পুরুষ ভোটারের জন্য এবং ৪০০ জন মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নর্িারণ করতে হবে।’
২১ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসির পঞ্চম কমিশন ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদন করা হয়। ওইদিন দিন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ(অব:) বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে।’