চট্টগ্রাম, ২ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১০ মাসে যাত্রীবান্ধব সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে যাত্রীদের অভিযোগ।
বুধবার ‘বিদেশ ফেরত ও গামী যাত্রীদের সেবা-সহায়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সমস্যা, প্রতিকার ও সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুক্ত আলোচনা হয়।
আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, তথ্য সহায়তা কেন্দ্র, ফ্রি ওয়াইফাই, টেলিফোন বুথ, জরুরি অ্যাম্বুল্যান্স, পৃথক নামাজ কক্ষ ও ব্রেস্টফিডিং কর্নার চালু করা হয়েছে। মিট অ্যান্ড গ্রিট সার্ভিস ও অনলাইন রেন্ট-এ-কার সুবিধাও চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে, এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। যেমন- ভাষাগত সমস্যা, তথ্য ঘাটতি ও প্রতারণার ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। এসব কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার।
পরিচালক জানান, শাহ আমানত বিমানবন্দরের প্রায় ৭৭ শতাংশ যাত্রী মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসী। এ কারণে অভিবাসী বিষয়ক সেবায় প্রত্যাশী’র মতো সংস্থাকে বিমানবন্দরে সরাসরি কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশী’র প্রধান নির্বাহী মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে আমরা দীর্ঘদিন কাজ করছি। এখন বিমানবন্দরে সরাসরি কার্যক্রমে যুক্ত হতে আগ্রহী এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করবো।
বিশেষ অতিথি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে অনেক মানুষ বিদেশ যান এবং এখানকার প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেশি। তবে দক্ষতা ছাড়া বিদেশ যাওয়া সমস্যার কারণ হয়। আমরা প্রত্যাশীসহ সব সরকারি-বেসরকারী সংস্থার সঙ্গে মিলে বিদেশ ফেরতদের কল্যাণে কাজ করছি।
সভায় বক্তব্য রাখেন- বিমানবাহিনী টাস্কফোর্সের প্রধান উইং কমান্ডার শামসুন নীহার, স্টেশন এয়ার ট্রাফিক অফিসার সাধন কুমার মহন্ত, ডিজিএফআইয়ের স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী ও হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রেমাংশু শেখর সরকার।