ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আয়োজিত এক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা দেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তারা বলছেন, এটি শিক্ষার্থীদের আচরণ পরিবর্তন এবং পারিপার্শ্বিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে।
সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের ‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদনের সঠিকতা নিরূপণে আজ সোমবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। কর্মশালায় প্যানেল আলোচক ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির প্রফেসর মো. মাহমুদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম।
অন্ষ্ঠুানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তি দিতে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানের কাজ চলমান আছে।
প্রফেসর মাছুমা হাবিব তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রকৃত অবস্থা জানতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি গবেষণা হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।
ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোছা. জেসমিন পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মেহেজাবিন হক, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সৈয়দ তানভীর রহমানসহ ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, ইউজিসি ও ইউনেস্কো’র কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য ইউজিসি ও ইউনেস্কো’র যৌথ উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট এর চেতনা সামনে রেখে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক চাহিদাসমূহ নিরূপণে র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্টের তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট তৈরি করা হয়।