চট্টগ্রাম, ৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): জেলায় প্রথমবারের মতো দুইজনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। দু’জনেরই বয়স ৪২।
সোমবার (৭ জুন) চট্টগ্রামের বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে রক্তের নমুনা পরীক্ষায় জিকা ভাইরাসের প্রাথমিক অস্তিত্ব শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা এবং শরীর লালচে হওয়া- এই উপসর্গ দেখা গেছে। অপরদিকে, আক্রান্ত নারী জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। তাই তারা ইপিক হেলথ কেয়ারের ল্যাবে পরীক্ষা করান। সেখানে রোগীদের রক্তে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্বের প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে যেহেতু এটি একটি কম্বাইন কিটের মাধ্যমে করা হয়েছে, যা একাধিক ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত হয়- তাই চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণে আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন।’
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইডিসিআর) জানিয়েছি। পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল ও সিদ্ধান্ত আইডিসিআরের দিকনির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ বলেন, ‘নগরের বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে দুইব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছি। আজ (মঙ্গলবার) থেকে তাদের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিকা ভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। এর চিকিৎসা হয় উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খেতে হবে।
বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। তবে এবারই প্রথম চট্টগ্রামে এই রোগ শনাক্ত হলো, যা স্থানীয়ভাবে জনস্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয় হয়ে উঠেছে। জনসাধারণকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে সিভিল সার্জন।