খুলনা, ১৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলনার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনার সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনার আফিল গেটে পৌঁছালে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক রেল লাইনের ওপর উঠেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ট্রেনটি ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর নিয়ে যায় এবং ট্রেনের তিনটি বগি রেল লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে ট্রেনের একজন যাত্রী নিহত ও অন্তত: ৩০জন যাত্রী আহত হন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষের দীর্ঘ ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সারাদেশের সাথে খুলনার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে খুলনা-ঢাকা সুন্দরবন ট্রেনটি খুলনা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। তবে, ট্রেনটি দৌলতপুর স্টেশনে অপেক্ষার পর রাত ২টা ৫মিনিটে দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। সুন্দরবন ট্রেনটি রাত পৌনে ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
আজ সকালে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন বাসসকে বলেন, আজ সকাল থেকে দিনের অন্যান্য ট্রেন যথারীতি সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করছে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. শহিদুল ইসলাম খান (৬৫) নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মারা যান। নিহতের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার খাজুড়া পূর্বপাড়া এলাকায়। আহতদের মধ্যে খুমেক হাসপাতালে আটজনকে এবং বাকিদের খুলনার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুমেক হাসপাতালর সূত্র জানিয়েছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন- অভয়নগর থানার নোয়াপাড়া গ্রামের সুমনের পুত্র সাদমান (৬), যশোর থানার শেখ হাটি গ্রামের হাফিজুরের পুত্র মারুফ (১৭), বটিয়াঘাটা থানার হাটবাটি গ্রামের মোশারফের পুত্র মিন্টু (৪৫), আড়ংঘাটা থানার গাইকুর গ্রামের মৃত শেখ রুস্তম আলীর পুত্র শেখ সাইদুল আজম (৫০), খালিশপুর থানার বাস্তুহারা গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র সোহেল (৩৪), দৌলতপুর থানার দৌলতপুর গ্রামের রনজিৎ পালের পুত্র বিপ্লব (২৬), বসুন্দিয়া থানার বসুন্দিয়া গ্রামের ইয়াকুব মোল্লার পুত্র মাহমুদ হোসেন (৪০) ও রূপসা থানার কাশদিয়া গ্রামের আশিষের কন্যা লাবণ্য (১৫)।