খুলনা, ১৮ জুলাই ২০২৫ (বাসস): জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলার ডুমুরিয়াসহ বিলডাকাতিয়ার শৈলমারী রেগুলেটরের মুখে পলি অপসারণের কাজ শুরু খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে দুটি ‘লং বুম ভেকু’ দিয়ে গেটের মুখে পলি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সময়ের প্রবল খরস্রোতা শৈলমারী নদীর অস্তিত্ব বর্তমানে হুমকির মুখে। পলি ভরাট হয়ে প্রায় সমতল ভূমিতে রূপ নিয়েছে। নদীর সঙ্গে সংযুক্ত অধিকাংশ স্লুইজ গেটের জল কপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এ নদী সম্পর্কিত ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা এলাকায় জলাবদ্ধতা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে এরইমধ্যে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই রেগুলেটরের জল কপাট চালু করতে পলি অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
উপজেলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জিএম আমান উল্লাহ বলেন, গেটের মুখে পলি অপসারণের কাজ আরও আগে করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়তে হতো না। যদিও শৈলমারি রেগুলেটরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাম্প চালু হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। কিন্তু বৃহৎ এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন পাম্প দিয়ে সম্ভব না। দ্রুত গেটের জল কপাট চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে শ্রাবণে ভারি বৃষ্টিপাত হলে এই অঞ্চল ভেসে যাবে। ইতোমধ্যে রংপুর, খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কুমার রায় জানান, যখন থেকে পাম্প চালু হয়েছে তখন থেকেই পলি অপসারণের কাজ করতে হতো। তাহলে পাম্পের পানির স্রোতে পলি কেটে নদীর গভীরতা তৈরি হতো। এখন বর্ষার সময় দ্রুত গেট সচল করতে না পারলে নিম্নাঞ্চল আবার তলিয়ে যাবে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমান বলেন, ডুমুরিয়াসহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৫ কিউসেকের দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প সর্বদা চালু রয়েছে। এছাড়া গেটের মুখে ভরাটকৃত পলি অপসারণে দুটি লং বুম স্কাভেটর দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে ভাসমান স্কাভেটর আসবে। পলি অপসারণ হলে গেটের জল কপাট খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ‘শৈলমারি নদী খনন’ প্রকল্পটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্যে শৈলমারি রেগুলেটরে আরও ৩টি এবং রামদিয়া রেগুলেটরে ২টি একই ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বরাদ্দ রয়েছে।