সাতক্ষীরা, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির সম্মেলনে জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রতিপক্ষকে ছুরিকাঘাত করেছে শাহজালাল (২৪) নামে এক যুবক। শাহজালাল নুরনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছোট শ্যামনগর গ্রামের সুরাত আলীর ছেলে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত শহিদুল্লাহ (৩৪) নুরনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন সরদারের ছেলে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে শাহজালালকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, শাহাদাৎ হোসেন সরদারের প্রতিপক্ষ বাদশা ঢালীর পক্ষে ওই যুবক একাধিক ভোট দেয়ার সময় আটক হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সম্মেলন শুরু হয় স্থানীয় আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। কেন্দ্রের নির্দেশনা সত্ত্বেও ৯টি ওয়ার্ডের সম্মেলন ৯টি কেন্দ্রে আয়োজন না করায় বেশ ভিড় হয়। এমন সুযোগে বিএনপির সাথে কোন সম্পর্ক না থাকার পরও ওই যুবক কয়েকবার ৩নং ওয়ার্ডের বুথে ঢুকে ভোট দেয়।
একপর্যায়ে শাহাদাৎ হোসেন সরদারের ছেলে তাকে ধরে ফেললে মুহূর্তের মধ্যে পকেটে থাকা চাকু মেরে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পাশের একটি দোকানে তাকে আটকে রাখা হয়। তবে, লোকজন নিয়ে এসে দোকান খুলে শাহজালালকে মুক্ত করেন রাজবাড়ী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও যুবদল নেতা রাজু আহমেদ।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়মান কবীর জানান, বিএনপির একটি পক্ষ সার্চ কমিটির সভা থেকে শুরু করে ব্যাপক নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। বার বার দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বার বার অভিযোগ করা হলেও তা আমলে না নেয়ায় দিন দিন অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, এমন কোন অভিযোগে এখনো তিনি পাননি। তবে খোঁজ নিচ্ছেন।