ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডোদের দুঃসাহসিক অভিযান ছিল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এমন মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অপারেশন জ্যাকপটসহ বীর নৌ-কমান্ডোদের দুঃসাহসিক অভিযান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। কারণ, তাদের সামরিক ও কৌশলগত সফলতাকে ইতিহাসে গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
ফারুক ই আজম বলেন, এই অভিযানের ফলে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্র ও নদীপথে সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এতে শত্রুপক্ষের যুদ্ধ পরিচালনায় গভীর প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত নৌ-কমান্ডোদের অবদান মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ বদলে দিয়েছে এবং স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। তাদের সাহসিকতা আমাদের জাতিসত্তার জন্য এক উজ্জ্বল প্রতীক যা আজও বীরত্বের প্রেরণা হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, একজন নৌ-কমান্ডো হিসেবে যুদ্ধ করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। একজন যোদ্ধা সবসময় যোদ্ধা—এই বিশ্বাসই আমাদের পথনির্দেশক। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধে আমরা যে আদর্শের জন্য লড়াই করেছি, সেই আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের দায়িত্ব আজও অব্যাহত রয়েছে।
উপদেষ্টা মনে করিয়ে দেন, নৌ-কমান্ডোদের ত্যাগ ও গৌরবময় অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় থাকবে। এটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, সাহস ও দায়িত্ববোধে অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক নঈম জাহাঙ্গীর, সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান কবির, সহ-সভাপতি অনিল বরণ রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নৌ-কমান্ডো একটি অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল নাম। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৌ-কমান্ডোদের দুঃসাহসিক অপারেশন দেখে শুধু বিস্মিত হয়নি, বরং ভয়ে তাদের অন্তরাত্মাও কেঁপে উঠেছিল।