
আব্বাছ হোসেন
লক্ষ্মীপুর, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। তাই জাল ও নৌকাসহ সব ধরনের কাজ সেরে নিতে মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এ দিকে অভিযান সফল দাবী করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন বাড়বে ৫শ টন।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫৬ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার নিবন্ধিত কিন্তু কার্ডধারীর সংখ্যা ৪৩ হাজার। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
এ সময় দুই শতাধিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়। প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১০টি নৌকা ও প্রায় ১ হাজার কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
পরে জব্দকৃত ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত নৌকাগুলো নিলামে উঠানো হবে। ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৫ অক্টোবর মধ্য রাতে।
এরপর থেকে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। আর ২২দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় ৪৪ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে ১ হাজার ১০৪ টন ভিজিএফের চাল দেয়া হয়।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারের জন্য জেলেরা প্রস্তুুতি নিচ্ছে। জাল ও নৌকাসহ সব ধরনের কাজ সের নিতে মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এই সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ ছিল।
বিভিন্ন এলাকারা জেলেরা জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার অভিযান কঠোর ছিল। আর জেলেরাও সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীত নামেনি। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে এবারের অভিযান সফল হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ২৫ অক্টোবর মধ্যে রাতে। এরপর থেকে আবারও পুরোদমে নদীতে মাছ ধরা শুরু হবে। তাই নৌকা ও জালসহ অন্যান্য কাজ সেরে নিয়ে নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এবারের অভিযান সফল দাবী করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বারের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। ২২ দিনের অভিযানে বেশ কয়েকজন জেলেকে জেল জরিমানা ও মামলা দায়ের করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে। এবার মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার টন যাহা গত বছরের চেয়ে ৫শ টন বেশি।