
ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দুই বছরের যুদ্ধের পর স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ‘খুব শিগগির’ গাজায় মার্কিন-সমন্বিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আশা করছেন।
মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি খুব শিগগির হতে চলেছে।’
তিনি বলেন, এমন কিছু দেশ রয়েছে, যারা কোনো সমস্যা হলে হামাসের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছে।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গাজায় ট্রাম্পের যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
সম্ভবত মিশর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
১০ অক্টোবর ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করে, কিন্তু গাজায় মানবিক সংকট এখনও কমেনি।
এই বাহিনীর মিশর ও জর্ডানের সমর্থনে গাজা উপত্যকায় যাচাইকৃত ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করার কথা রয়েছে।
এটি সীমান্ত এলাকাগুলো সুরক্ষিত করা ও হামাসের অস্ত্র পাচার রোধ করারও দায়িত্বে থাকবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার মাধ্যমে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছিল।
বুধবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে অংশীদার দেশগুলোর কাছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব বিতরণ করেছে। প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে সবুজ সংকেত দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মার্কিন মিশনের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ওয়াশিংটনের জাতিসংঘের দূত মাইক ওয়াল্টজ ১০ জন নির্বাচিত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ও মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কসহ বেশ ক’টি আঞ্চলিক অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাদেরকে খসড়াটির কপি দিয়েছেন।
ভোটের সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, বেশ ক’টি দেশ বাহিনীতে অংশগ্রহণের জন্য তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে, তবে তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েনের আগে নিরাপত্তা পরিষদের আদেশের ওপর জোর দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামরিক কমান্ড, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরকালে বলেছিলেন, সেখানে কোনও মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না।