॥ আমিনুল ইসলাম ॥
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): বিগত সরকারের রেখে যাওয়া মূল্যস্ফীতিতে খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি একটি জেনুইন কনসার্ন। ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানো। রমজানে যাতে কোনো পণ্যের সংকট না হয়, দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বাফার মজুদ গড়ে তুলেছি। এটি চাল ও গমের মজুদ। এটি স্থানীয় পর্যায়ে আনা হয়েছে, যাতে রমজানে এসব নিত্যপণ্যের সরবরাহে কোন সমস্যা না হয়।
তিনি বলেন, বিগত দুই বছর যাবৎ মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ওই সময় বড়বড় নানা মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এটি চাহিদা ও সরবরাহের বিষয়। কিন্তু সে সময় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে টাকা-পয়সা কিছু নয়-ছয় হয়েছে। সে কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং নীতিতে কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, আপনারা জানেন, গত বছর এক সাথে ৭-৮টি জেলায় বন্যা হয়েছে, এতে পোল্ট্রি, মৎস্য, সবজি ও ধানসহ সব ধরনে পণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এটি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া আমাদের সাপ্লাইয়ার, ইম্পোর্টার ও প্রডিউসারের মধ্যে অনেক গ্যাপ আছে। এগুলোর মাঝে অনেক মিডলম্যান আছে। এগুলো যে আমরা এলিমেট করতে পারছি, তা ঠিক নয়। আমরা চেষ্টা করছি বাজারে যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে। সেজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- খেজুর, চাল, ডাল, চিনি ও তেলের ইম্পোর্ট ডিউটি শূন্যে নামিয়ে এনেছি। এছাড়া ধানের উৎপাদন বেড়েছে। এতে আশা করছি, রমজানে বাজার দর কিছুটা কমে যাবে।
এছাড়া বাজারে পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে, সেজন্য বাজার মনিটরিংয়ে স্থানীয়ভাবে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা সহনীয় হবে। ইদানিং ডিসিদেরও বলেছি, তারা যেন বাজার মনিটরিং করে। এটা ঠিক পণ্যের দর বেধে দিয়ে করতে হবে, তা নয়। তারা (ব্যবসায়ীরা) যেন অত্যধিক লাভ ও পণ্যের মজুদদারি গড়ে তুলতে না পারে সে বিষয়টি দেখভাল করতে বলা হয়েছে।