পোপ ফ্রান্সিস রোমের সান্তা মারিয়া মেজোরে গির্জায় সমাহিত 

বাসস
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:০৮ আপডেট: : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০০:২৪

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস/এএফপি) : পোপ ফ্রান্সিসকে তার প্রিয় রোমের গির্জা সান্তা মারিয়া মেজোরেতে সমাহিত করা হয়েছে বলে শনিবার ভ্যাটিকান জানিয়েছে। এর আগে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হয় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।

রোম থেকে এএফপি জানায়, সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা ফ্রান্সিসকে ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত এই গির্জায় শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা (গ্রিনিচ মান সময় ১১০০) থেকে শুরু হওয়া ৩০ মিনিটব্যাপী এক অনুষ্ঠানে সমাহিত করা হয়।

হলি সি-এর প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, কার্ডিনালরা কাঠ ও দস্তায় তৈরি তার কফিনে লাল মোমের সিল লাগাচ্ছেন।

কার্ডিনাল কেভিন ফারেল, যিনি ক্যামেরলেনগো হিসেবে নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত ভ্যাটিকানের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাচ্ছেন, কফিনটি নির্ধারিত কক্ষের সমাধিতে নামানোর পর তা পবিত্র পানি ছিটিয়ে অভিষিক্ত করেন।

ফ্রান্সিসের জীবদ্দশায় ব্যবহৃত পেক্টোরাল ক্রসের একটি প্রতিকৃতি তার সমাধির ওপরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিস তার ইচ্ছাপত্রে নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন সান্তা মারিয়া মেজোরে গির্জার পাশের কক্ষে, সেন্ট ফ্রান্সিসের বেদির কাছে, একেবারে সাধারণ এবং অলঙ্করণহীন সমাধিতে সমাহিত হন— যা তার পোপত্বের বিনয়ী ভাবমূর্তির প্রতিফলন।

সমাধির ফলকে কেবল রোমান হরফে তার লাতিন নাম ‘ফ্রান্সিসকাস’- খোদাই করা হয়েছে।

সমাধির মার্বেল পাথর সংগ্রহ করা হয়েছে ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লিগুরিয়া এলাকা থেকে, যেখান থেকে ফ্রান্সিসের আর্জেন্টাইন বংশের পূর্বপুরুষরা এসেছিলেন।

জর্জ বেরগোলিও নামে জন্ম নেওয়া ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তার এ সমাধিস্থলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

কুমারী মেরির প্রতি তার গভীর ভক্তি ছিল এবং বিদেশ সফরের আগে ও রোমে ফিরে আসার পর তিনি নিয়মিত সান্তা মারিয়া মেজোরে গির্জায় প্রার্থনা করতেন।

রোমের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই গির্জায় ইতিমধ্যে সাতজন পোপের সমাধি রয়েছে।

তবে সর্বশেষ যে পোপকে এখানে সমাহিত করা হয়েছিল, তিনি হলেন ক্লেমেন্ট নবম, ১৬৬৯ সালে। সাম্প্রতিক সময়ে অধিকাংশ পোপকেই সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় সমাহিত করা হয়েছে।

রোমের চারটি পাপাল ব্যসিলিকার একটি, সান্তা মারিয়া মেজোরে গির্জায় আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমাধিও রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্থপতি ও ভাস্কর জিয়ান লরেঞ্জো বারনিনি— যিনি সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার এবং তার চারপাশের কলামগুলোর নকশা করেছিলেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩২ সালের দিকে পোপ তৃতীয় সিক্সটাসের আমলে নির্মিত এ ব্যাসিলিকায় ক্যাথলিক গির্জার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সংরক্ষিত আছে, যার মধ্যে অন্যতম হল সেন্ট লুকাসের প্রতি সমর্পিত কুমারী মেরি ও শিশু যীশুর একটি আইকন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্ব ও সদ্ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান সুপ্রদীপ চাকমা’র
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাড
ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে ঢাবিতে ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে ডাস্টবিন স্থাপন
'সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত’ : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
পটিয়ায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিস রোমের সান্তা মারিয়া মেজোরে গির্জায় সমাহিত 
সড়ক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা
পোপের শেষকৃত্যে জনতার ভিড়ে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা আসাঞ্জ
তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
১০