ঢাকা, ১৬ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আসহাবুল ইয়ামিন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সায়েদুর রহমান সুজনসহ তিনজনকে আগামী ১৮ মার্চ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
হাজিরার আদেশপ্রাপ্ত অপর দুইজন হলেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা মিজানুর রহমান ও জাকির হোসেন।
প্রসিকিউশনের একটি আবেদন মঞ্জুর করে আজ রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সাভারে আসহাবুল ইয়ামিন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্বে পরিচালিত হামলায় শহীদ হন। আগে থেকেই অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা সাভারের বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৮ মার্চ তাদের হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার আদালতে এ মামলার শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউটর মো. মিজানুর রহমান, গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ১১ মার্চ ইয়ামিন হত্যা মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এই ১০ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন বলে বাসসকে জানান ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গা-ঢাকা দিলেও এ বছরের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার হন সুজন। চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ জুলাই সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন।
সেদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গুলি করার পর একজন পুলিশ সদস্য সাঁজোয়া যান (আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ার বা এপিসি) থেকে তাকে টেনে রাস্তায় ফেলে দিলে আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এসে তাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যায়।