ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস) : মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে শনাক্ত হয় যে, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) এর বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও ভোর্টেক্স নামক একটি ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।’
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে দেখেছে, ‘এই দাবিটি সঠিক নয়; বরং, দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে কর্মরত তিনটি দেশের (ডেনমার্ক, উজবেকিস্তান ও মিয়ানমার) রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তিন রাষ্ট্রদূত প্রায় আট বছর ধরে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন, যা প্রচলিত ছয় বছরের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। বিদেশে দীর্ঘদিন কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনার নতুন সংস্কৃতি চালু করা হচ্ছে বলে দৈনিক দেশ রূপান্তরকে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাছাড়া, মিয়ানমার এই ধরণের কোনো বক্তব্য দেয়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।’
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ‘মিয়ানমারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনও এই তিন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একজন, যাদেরকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলো থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ‘এছাড়াও, গত ২৭ মে মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে এই বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।উদাহরণস্বরূপ- দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক কালবেলা ও ঢাকা পোস্ট তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে শুধু মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের ফেরার সংবাদ আলাদাভাবে পরিবেশন করেছে এবং এরসঙ্গে মানবিক করিডোরের প্রসঙ্গ জুড়ে দিয়েছে, যা পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে।’
বিষয়টি অনুসন্ধান করে বাংলাফ্যাক্ট শনাক্ত করেছে যে মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
৩টি দেশ থেকে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতদের ফেরানো হচ্ছে। কাউকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়নি, ‘করিডোর’-এর সাথেও সম্পর্ক নেই। প্রচারিত সংবাদের তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং গুজব বলে শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।