ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২৫(বাসস) : বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)’র উদোগে বিসিআই বোর্ডরুমে আজ সকালে “হালাল পণ্যের বাজার, হালাল পণ্য উৎপাদনে অনুসরণীয় পদ্ধতি এবং হালাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ পদ্ধতি” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এতে আলোচক ও ট্রেইনার ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের (বিসিসি) সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের, বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক এস এম আবু সাঈদ, এবং সহকারী পরিচালক মোছা. রেবেকা সুলতানা।
কর্মশালা পরিচালনা করেন বিসিআইয়ের সেক্রেটারী জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন।
কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেক্টরের ২২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় ওবায়দুর রহমান বলেন, হালাল পণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত। শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিম ভোক্তারাও স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার কারণে হালাল পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
এটি শুধু খাদ্য নয়, বরং প্রসাধনী, ওষুধ, পোশাক, পর্যটনসহ বহু খাতে বিস্তৃত।
তিনি বলেন, বিশ্বে বৃহত্তম হালাল ভোক্তা দেশসমূহ হল ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্ক। এছাড়াও ইউরোপে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হালাল পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
শিল্প সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ এই বাজারে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র পরিকল্পিত উদ্যোগ, মানসম্পন্ন উৎপাদন ও সঠিক বিপণনের মাধ্যমে আমরা এই বিশ্ববাজারে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতে পারি।
হালাল পণ্য হতে পারে বাংলাদেশের পরবর্তী রপ্তানিযোগ্য সোনালী খাত।
কর্মশালার দ্বিতীয় ভাগে “হালাল পণ্যের বাজার” এর ওপর আলোচনা করেন মো. খালেদ আবু নাছের।
এস এম আবু সাঈদ এবং মোছা. রেবেকা সুলতানা “হালাল পণ্য উৎপাদনে অনুসরণীয় পদ্ধতি এবং হালাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ পদ্ধতি” সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও ফিডব্যাক নেয়া হয় এবং সকলের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়।