ঢাকা, ৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের আবেদনের নিষ্পত্তি, নির্বাচনী ব্যয় সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ লিখিতভাবে এ সব দাবি জানান। এদিন বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএম-এর পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসি’র সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সিইসি’র কাছে আবেদনে আরো বলা হয়েছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোন সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেব ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা জানি, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সে হিসেবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল যখন বলছি, আমরা আওয়ামী লীগ নিয়েই কথা বলছি। তাদের কার্যকরী পদধারী বড় নেতা যারা ছিলেন, তারা যেন ওই নাম লুকিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না আসে, সেই ব্যবস্থা করা। আমরা সিইসি’র কাছে এই দাবি করেছি।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ‘সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক জেলায় অবস্থিত সংসদীয় আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না। যেখানে সম্ভব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, বিভিন্ন আসনের মধ্যে ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগোলিক সীমারেখা ও যাতায়াত ব্যবস্থা, জন প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে।’
নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় সংসদীয় আসনের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে জনবহুল স্থানে অন্তত একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীর সঙ্গে ১০ জন সমর্থক গমন করার অনুমতি প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত পিভিসি ব্যানার ব্যবহার না করা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোন প্রার্থীর ব্যক্তিগত চরিত্র হনন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনো প্রচারণা চালাতে পারবে না মর্মে আচরণ বিধিতে উল্লেখ করতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় সীমা ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করতে হবে বলেও এনডিএমের পক্ষ থেকে সিইসি’র কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।