ভোলা, ৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভোলা উপকুলের নদ-নদী উত্তাল। ফলে এখানকার নৌপথের ডেঞ্জার জোনের ৮ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। তাছাড়া টানা চারদিনের বর্ষণে উপকূলীয় জেলা ভোলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৩২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। এরমধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জেলা শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা গুলোর শহর-জনপদের অবস্থাও বেহাল।
এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক এলাকায় লোকজনকে ঘর থেকেও বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ১৩২দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার প্রায় ৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারি পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বাসস’কে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষীপুর, চরফ্যাশন-মনপুরা,তজুমদ্দিন-মনপুরা, দৌলতখান-আলেকজেন্ডার রুটসহ বেশ ৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এতে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত পরিবার।